ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁহ’কে থানা হিসেবে অনুমোদনে শোকরানা সভা, মিলাদ ও মেজবান নভেম্বরে

সোয়েব সাঈদ, রামু ::
কক্সবাজারের ঈদগাঁওকে থানা হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় সাংসদ কমলের উদ্যোগে বিশাল শোকরানা সভা, মিলাদ মাহফিল ও ৫০টি গরু দিয়ে মেজবানের আয়োজন করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসেই এ আয়োজন সম্পন্ন করা হবে।
এ প্রসংগে কক্সবাজার -৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, তিনি দুইবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এসময় মহান জাতীয় সংসদের প্রায় সব বক্তব্যে তিনি ঈদগাঁহকে থানা এবং উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেয়ার জোর দাবি জানিয়ে বক্তব্য রেখে আসছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এনিয়ে তিনি দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঈদগাঁহকে থানা হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন।
ঈদগাঁহকে থানা হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। এছাড়াও তিনি ঈদগাঁহকে থানা হিসেবে রুপান্তরে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে গত ২১ অক্টোবর প্রশাসনিক পূর্ণবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঈদগাওকে থানা হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় ঈদগাঁহতে আনন্দের বন্যা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে ঈদগাঁহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি কে অভিনন্দন জানিয়ে চলছে মিছিল-সমাবেশ ও মিষ্টি বিতরণ।
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তালেব জানিয়েছেন, বৃহত্তর ঈদগাঁহবাসী দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিলো ঈদগাঁহকে থানায় রুপান্তর করা। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। তিনি থানা বাস্তবায়নে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি সহ যারা কষ্ট করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতি ঈদগাঁহবাসী আজীবন ঋণি হয়ে থাকবেন বলে উল্লেখ করেন।
সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, এমপি কমল বিগত সংসদ নির্বাচনে ঈদগাঁহবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। ওইসময় নির্বাচনী সমাবেশে তিনি ঈদগাঁহকে থানা ও উপজেলা হিসেবে রুপান্তর করতে না পারলে ঈদগাঁহবাসীর কাছে কোনদিন ভোট চাইবেন না বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। অবশেষে এমপি কমলের প্রচেষ্টা স্বার্থক হয়েছে। তিনি ঈদগাঁহবাসীকে ধন্য করেছেন। ঈদগাঁহর মানুষ এমপি কমলের এ প্রচেষ্টা আজীবন কৃতজ্ঞতাসহকারে স্মরণ রাখবে।
তিনি আরো বলেন, ইতিপূর্বে ঈদগাঁহ এলাকার মানুষ ৩০ কিলোমিটার দূরে থানা পুলিশের সেবা নিতে গিয়ে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এখন সে দূর্ভোগ লাঘব হবে। কমে যাবে চুরি-ডাকাতি আর মাদকের ভয়াল বিস্তার। এ কারনে খুশিতে ঈদগাঁহবাসী এখন আনন্দে মাতোয়ারা। স্টেশন আর গ্রামে-গ্রামে চলছে মিষ্টি বিতরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাইমুম সরওয়ার কমল এমপিসহ সরকারকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চলছে কথার ফুলঝুরি। আর সরকারের এ সমযোপিযোগি সিদ্ধান্তের কারনে আগামীতে এ অঞ্চলে সাংসদ কমলের পক্ষে চলমান গণজোয়ার আরো বেড়ে যাবে।

 

পাঠকের মতামত: